OrdinaryITPostAd

কফি চাষ

কফি পরিবারভুক্ত মাঝারি উচ্চতার চিরসবুজ প্রাকৃতিক গাছ। কফি বিশ্বব্যাপী খুবই জনপ্রিয় পানীয়। পানির সাথে ফুটিয়ে রান্না করে কফি বীজ নামে পরিচিতি একপ্রকার বীজ পুড়িয়ে গুড়োড মিশিয়ে কফি তৈরি করা হয়। এই বিষ কফি চেরি নামক এক ধরনের ফলের বীজ। প্রায় উত্তরটি দেশে এই ফলের গাছ জন্মে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার, কনফারেন্স চলাকালে বা কফি ব্রেক বলে খ্যাত ছোট বিরতির এই রেওয়াজ চালু হয়েছিল আমেরিকায় ১৮ শতকের প্রথম দিকে। চা বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করলেও আমরা এখনো পর্যন্ত কফি চাষের পিছিয়ে রয়েছি। কফি একটি অর্থকারী ভাই এটি চাষ করে এদেশের অর্থনৈতিক হবে তেমনি একটি বৌমাতৃক পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ বলে জনগণের পোস্টটি চাহিদাও পূরণ করবে। কফিতে ক্যাফেইন নামক এক ধরনের পদার্থ রয়েছে। ৮ টাউন কফিতে প্রায় ১৩৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। 


বাংলাদেশ কফি চাষের সম্ভাবনা :- 

বাংলাদেশ আবহাওয়া ও জলবায়ু কফি চাষের অনুকূল।এটি সাধারণত সমুদ্র থেকে ৫০০-১০০০ মিটার উচ্চতা এবং ১০০০-২০০০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে ভালো ফলে। সেজন্য বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকা যেমন — পার্বত্য অঞ্চল ও টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের আবহাওয়া এটি সম্প্রসারণ সম্ভব । পাহাড়ি এলাকা ছাড়া ইতিমধ্যে নীলফামারী, রংপুর টাঙ্গাইল এলাকায় কফি চাষ শুরু হয়েছে। রভাস্তা জাতের কফি বাংলাদেশের আবহাওয়া খুব উপযোগী। কফি হালকা ছাড়াই ভালো হয় এবং অতিরিক্ত সার ও সেচের তেমন প্রয়োজন হয় না, যা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কফি গ্রহণের ও পনের চাহিদা রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর তথ্য মতে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এর উৎপাদন এলাকা ছিল প্রায় ১১৮.৩ হেক্টর মওত উৎপাদন প্রায় ৫৫.৭৫ টন। বর্তমানে কৃষকগণ যতটুকু চাষ ও প্রজাতি করছে তার সবটুকুই সনাতন পদ্ধতিতে, যার ফলম অনেক কম এবং লাভও হয়। ২০১৯ থেকে ২০২০ আমদানি কিতক গ্রীন কফির পরিমাণ হল ৩২.৫১৭ টন। চাহিদার বেশিরভাগ অংশই প্রায় ৯৫% পূরণ হচ্ছে করা কফি দিয়ে। তাই আমাদের কফির উৎপাদনের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কফি হতে পারে বাংলাদেশের পাহাড়ি মানুষের বিকল্প আয়ে এর উৎস। কফি চাষের আন্ত ফসল হিসেবে পেঁপে, আনারস, গোলমরিচ চাষ করা যায়। কফি হালকা ছাড়াই ভালো হয় এবং অতিরিক্ত সার যে তেমন প্রয়োজন হয় না। স্থানীয় চাহিদা অনেক বেশি ও রপ্তানিওর সুযোগ রয়েছে বলে এটির উৎপাদন ভিত্তিতে আমার বউ মুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। 


কফি উৎপাদন প্রযুক্তির ধাপ :- 

১) মাটি ও জলবায়ু। 

২) বংশবিস্তার। 

৩) জাত। 

৪) রোপন সময়। 

৫) গর্ত তৈরি।

৬)  চারা রোপন ও দূরত্ব। 

৭) ছায়া প্রদানকারী গাছ। 

৮) সারের মাত্রা ও প্রয়োগ পদ্ধতি। 

৯) পরিচর্যা। 

১০) ডালপালা সেটাই। 

১১) লোগো পোকামাকড়।

১২)  দমন ফল সংগ্রহ। 


কফি ফল বা চেরি সংগ্রহ প্রক্রিয়া: 

চারা রোপণের দুই তিন বছর পর থেকে কফি সংগ্রহ করা যায়। এরাবিকা যাতে ফুল ফোটার ৮-৯ মাস এবং প্রবাস স্টার ১০ ১১ মাস পর ফল সংগ্রহের উপযুক্ত সময়। কফির ভেরি যখন পেকে ঢাল লাল বাহ হলুদ রং হয় তখন এগুলো গাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয়। বিশ্বের কোথাও কোথাও হাত দিয়ে আবার কোথাও যেমন সমতল ভূমিতে যন্ত্রের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করতে হয়। ১০-১৫ দিন পর পর ৪-৬ কিস্তিতে বছরে দুইবার সংগ্রহ করতে হয় ফল। 


কফির আন্তঃপরিচর্যা ধাপ : 

১) আগাছা দমন। 

২) মালচিং বা জাবড়া প্রয়োগ।

৩) সেচ। 

৪) নতুন চারা প্রতিস্থাপন । 

৫) ছাটাই করুন। 


কফির অন্তঃপরিচর্যার বর্ণনা :

১) আগাছা দমন : প্রথম দুই তিন বছর বাগান আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। 

২) মালচিং বা জাবড়া প্রয়োগ: গাছের গোড়ায় মালচিং সহ দুই সারির মাঝে শিম জাতীয় ফসল চাষ করলে মাটিতে নাইট্রোজেন সার যুক্ত হবে। 

৩) সেচ: এপ্রিল-মে মাসে প্রয়োজনে শেষ দিতে হবে। 

৪) ) নতুন চারা প্রতিস্থাপন: মরা চারার স্তনে নতুন চারা রোপণ করতে হবে। 

৫) ছাটাই করুন: গাছের সঠিক কাঠামো ফল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ডালপালা ছাটাই জরুরি। কফি গাছ ইংলিশ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় বেড়ে উঠতে পারে। 


কফির প্রক্রিয়াজাতকরণ:

ফল সংগ্রহের পর কফির পছন্দসই সাদ পেতে প্রক্রিয়াজাত করন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংগ্রহকৃত পাকা কফি প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্রে পাঠানো হয়। প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্রে পৌঁছানোর সাথে সাথে এর কার্যক্রম শুরু করে দিতে হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে তিন ধরনের হয়ে থাকে। যথা ভেজা পদ্ধতি, শুকনো পদ্ধতি ও শক্ত পদ্ধতি। 


কফি বিন শুকানো, মিনিং এবং এক্সট্রাকশন :- 

কফি বিন শুকানো: ভেজা পদ্ধতিতে সংগৃহীত কফি বীজগুলোকে রৌদ্রে ডায়ারে আদ্রতা ১১ শতাংশে না পৌঁছানো পর্যন্ত শুকানো হবে, এই অবস্থায় কপি কে পার্চমেন্ট কপি বলে। তারপর ব্যাগে ভরে সংরক্ষণ করতে হবে। 

মিলিং :- কফি প্রক্রিয়াজাতকরণের শেষ পর্যায়ে শুকনো খোসা এবং ফলের অবশিষ্ট অপসারণ, পরিষ্কার করা এবং বাছাই করতে হবে। হালিম মেশিনের মাধ্যমে মেইন্ট লেয়ার সরাতে হবে যা সম্পূর্ণ শুকনো আবরণ ছড়াতে হবে। যদিও পলিশিং করলে এর গুণগত মান বাড়ে, তবুও এটি করা বাধ্যতামূলক বা জরুরি নয়। আবারো ওজন দেখে কফি কে বাছাই করতে হবে। নিশ্চিত ভাবে ভালো গ্রিন কফি গুলো রাখতে হবে রপ্তানির জন্য। 


কফি বিনের টেস্টিং, রোস্টিং :- 

বাসায় কি তো গ্রিন কফি কে রোস্টিং করে তৈরি করা হয়। যেটা আমরা সুপার সব বা ক্যাফে থেকে ক্রয় করে থাকি। বেশিরভাগ রোস্টিং মেশিনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয় প্রায় ৫৫০ ডিগ্রি ফারহাইট। এই সময় সঠিকভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। কারণেই ধাপের সৃষ্টি হয় অসাধারণ দিয়ে। এই প্রক্রিয়াকে বলে পাইরোলাইসিন। রোস্টিং এর পর অতি দ্রুত ঠান্ডা করতে হবে। তাহলে এর স্বাদ ও গন্ধ অটল থাকবে, যার জন্য অনেক বেশি আকৃষ্ট হবে কেনার জন্য। কফির শাহাদক গ্রাম গ্রাহকের কাপ পর্যন্ত রাখতে হলে সঠিকভাবে কফি করা এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কফি বীজ গোড়া করা যত মেয়ে হবে তত দূরত্ব সুন্দর কফি তৈরি হবে। কফির গুণগত ও সাদ নির্ভর করে কফি বিনের পিটিটি ওপর। আধুনিক বিভিন্ন মেশিনের সাহায্যে বিভিন্ন সালের কফি বা মিল কফি তৈরি করে কপি প্রেমীদের সন্তুষ্ট করা যায়। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কমেন্ট করুন;

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪