Fiver
ফাইবার কি....?
সাইবার হল এমন একটি অনলাইন এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস, যেখানে বায়ার এবং সেলার একই সঙ্গে কাজ করেন। যেখানে সার্ভিসের কেনা বেচা হয়। এখানে সেলার কোন একটি কাজের জন্য গিগ তৈরি করে। ওই গিগটা যদি কোন বায়ারের দরকার হয় তাহলে গিগটা সে কিনবে। ফাইবার এ যে কোন ধরনের সেবা দিয়ে গিগ তৈরি করা যেতে পারে। সেটা হতে পারে একাউন্ট তৈরি করা থেকে শুরু করে সেই একাউন্ট কে কমপ্লিট করা পর্যন্ত। এখানে কাজ করতে হলে অবশ্যই কোন কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যে কাজে পারদর্শী তেমন কিছু কাজ দিয়ে একাউন্ট সাজিয়ে রাখতে হবে যাতে বায়াররা সেটা দেখে আকর্ষিত হয়। এটাকেই ফাইবারের ভাষায় গিল বলে। যেহেতু ফাইবারে কমপ্লিটেশন বেশি এবং রেস্ট্রিকশনও বেশি তাই এখানে কিছু শর্ত মেনে গিগ করতে হয়। আপনি যে বিষয়ে সর্বাধিক পারদর্শী সেই বিষয়ের ওপর গিগ তৈরি করে আপনি একজন বায়ারের কাছে রিপ্রেজেন্ট করতে পারেন। আর যদি আপনি একাধিক বিষয়ে পারদর্শি হন এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে আলাদা আলাদা গিগ তৈরি করে কাজ করতে পারেন।
কিভাবে ফাইবার থেকে সহজে কাজ পাওয়া যায় এবং ফাইবারের গিগ কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রমোট করা যায়...??
আপনি যদি ফাইবার থেকে সহজে কাজ পেতে চান, শুধুমাত্র সেই গিগ গুলো প্রদর্শন করুন যা অপেক্ষাকৃত অল্প সময় সম্পূর্ণ করতে পারবেন, কিছু গিগ এর উদাহরণ এমন হতে পারে।
আপনার গিতটিকে আকর্ষণীয় করে তুলুন।
ফাইবার একই গিগ এর প্রতিদ্বন্দি অনেক। প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঝে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে, তবে দরকার যথাযথ কৌশলের। গিগটিকে সাজিয়ে নিন সাবলীল, সংগতিপূর্ণ, আর কার্য়করী তথ্য দিয়ে। আপনার গিগটিকে করতে হবে সবার চেয়ে আর্কষনীয়।
অনুসরণ করতে পারেন নিচের পদ্ধতি গুলো :
১. টাইটেল কে যত সম্ভব আকর্ষণীয় করে তুলুন :-
বায়ার রা যেহেতু টাইটেল এর উপর বৃষ্টি রাখেন, তাই টাইটেলের যত অসম্ভব গিগ এর কিওয়ার্ডগুলো লেখার চেষ্টা করুন। তাহলে বায়ার সহজে গিগটি বুঝতে পারবেন।
২. গিগ এর অফারের সাথে সংশ্লিষ্ট ছবি/ভিডিও :-
আপনার গিগ সংশ্লিষ্ট একাধিক ছবি/ভিডিও আপনার অফারটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। একটি পুরি ছবি/ভিডিও বর্ননার চেয়েও ভালো। সুতরাং অফারের সাথে যে ছবি/ভিডিও সংযুক্ত করবেন সেটিও গুরুত্বের সাথে নির্বাচন করতে হবে।
৩. গিগ এর বিষয় বস্তুর যথাযথ বর্ননা :-
আপনি যে গিগটি অফার করবেন এর সুন্দর/ছাড়বো লিখ বর্ণনা দেয়ার চেষ্টা করুন তাহলে বায়ার আপনার সার্ভিসটি কেনার ব্যাপারে বেশি প্রধান্য দিবেন। আপনার গিগের বর্ণনা তারাই পড়বে যারা আপনার টাইটেল এবং ছবি দেখে আগ্রহী হয়ে আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করবেন। সুতরাং বিবরণটি এমন ভাবে লিখুন যেন বায়ার রা আপনার গিগ কেনার জন্য ইমপ্রেস হয়।
৪. একই গিগ একাধিক স্টাইলে পুনরাবৃত্তি করুন:-
তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ করা যায় এরকম গিগ যদি ভালো বিক্রি হচ্ছে দেখতে পান তাহলে এই ধরনের কাজ আরো একাধিক গিগ একটু ভিন্ন আঙ্গিকে তৈরি করতে পারেন। ফলে ক্রিয়েটিভিটি দেখে ক্লাইন্ট ইম্প্রেস হবে।
৫. পুনরায় বিক্রয়ের জন্য শেষ অফার :-
ধরুন, আপনি একটি গিগ অফার করলেন, ৫ ডলারের পাঁচটি facebook পোস্ট লিখে দিবেন, যখন আপনি কাজটি সম্পন্ন করলেন, তখন ক্রেতাকে অফার করতে পারেন দিবেন ৫ ডলার। এই আইডিয়া অন্য গিগ এর ক্ষেত্রে অবলম্বন করতে পারেন। ১০০ ওয়াজের একটি অনুচ্ছেদ করলেন ৫ ডলারে। পরবর্তী আযানের জন্য ক্রেতা কে পাস ডলারের কাজ ১২০ ডলার অফার করতে পারেন। এইভাবে পাঁচটি প্লট পোস্ট কমেন্ট জায়গায় ছয়টি করতে পারেন, ফলে ক্রেতা মুগ্ধ হয়ে বারবার আপনার গিগই ক্রয় করবেন। এরকম বিশেষ অফারে আপনার আয়ের পরিধি বাড়বে, শুধু তাই নয় সার্চ রেজাল্টে আপনার গিগই সবার আগে থাকবে। এই কৌশল ব্যবহার করে একটি সাধারণ গিগ অধিক সংখ্যক বিক্রয় করতে পারেন।
৬. দ্রুত রেস্পন্স ও কাস্টম অফার :-
উল্লেখ্য, ফাইবার গিগ এর সার্চ ফলাফল র্যাংকিং করতে একটি জটিল পদ্ধতি ব্যবহার করে। পদ্ধতিতে বায়ার কে কে কত তাড়াতাড়ি রেসপন্স করে এর ওপর ভিত্তি করে র্যাঙ্ক দেওয়া হয়। তাই বাজারকে যত দ্রুত রেসপন্স করুন। দ্রুত রেসপন্স করার পর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কাস্টম অফার। বায়ার কে কাস্টম অফার করার চেষ্টা করুন। আপনি যে গিগটি ইতিমধ্যে বিক্রি করেছেন এই ধরনের আরেকটি গিগ এর অফার করতে পারেন বায়ারকে। উল্লেখ্য কাস্টম অফারে গিগ এর বর্ণনা, কত সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন এবং বায়ার এর জন্য কত ডলার এইসব তথ্য উল্লেখ করতে হবে।
৭. আপনার গিগ শেয়ার করুন যতটা সম্ভব :-
সামাজিক যোগাযোগ আপনার গিগ শেয়ার করতে পারেন। হয়তো আপনার ফলোয়ারদের মধ্যে কারো এ ধরনের সার্ভিস প্রয়োজন হতে পারে। আরেকটি ও ব্যাপার হচ্ছে ফাইবার সেই গিগগুলোই সার্চ রেজাল্টে আপনার গিগ এর ব্যাংক লেভেল কমিয়ে দিবে।
বাইরের সাথে স্বচ্ছ যোগাযোগের মাধ্যমে নেগেটিভ রিভিউ কমে আনতে পারেন। কাঁচ সম্পন্ন করার পূর্বে বায়ার কে অবশ্যই জানার বাকি থাকলে প্রশ্ন করে নিতে পারেন। ডেলিভারি দেওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে নেতিবাচক রিভিউ ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। যদি সম্ভব হয় তাহলে গিগ এ হরে চাইতে একটু বেশি কাজ করার চেষ্টা করবেন।
ফাইবারে কাজ পাওয়ার সহজ টিপস।
ফাইবারের দ্রুত অর্ডার পাওয়া যায় এরকম কোন টিপ বা ভিডিও নাই আর আপনি ফাইবারে এত সহজে অর্ডার পাবেন না। তবে কিছু দিক বিবেচনা করলে হয়তো তাড়াতাড়ি অর্ডার পেতে পারেন।
আপনার যেমন একটা বিষয়ে কাজ শিখতে ৩ থেকে ৬ মাস চলে যায় ঠিক তেমনি ফাইবারে কাজ পেতে ১ থেকে ২ মাস লাগে আবারো ৭দিনেও হয়।
কিছু টিপস এগুলো এপ্লাই করতে পারেন -
1. আপনি যদি নিয়ে কাজ করেন তাহলে ডিজাইনিং এর ওপর ২/৩ টা গিগ করবেন, আশা করি ভালো ফল পাবেন।
2. ফাইবারে নির্দিষ্ট টাইমে জব পোস্ট করে, তাই ওই সময় আপনিও রেডি থাকবেন। বায়ার রিকোয়েস্ট দিলেই সাথে সাথে আপনার প্রপোজাল পাঠিয়ে দিবেন। আর হ্যাঁ বায়ার হলেই কাজ সম্ভাবনা বেশি তাই আপনি এই বিষয়ে একটু গুগলে স্টাডি করেন, যে বায়ার রিকুয়েস্ট পাঠাবো।
3. প্রথমত ছোট ছোট গিগ করবেন সাথে প্রাইজ টা একটু কম রাখার চেষ্টা করবেন। তাহলে বেস্ট জন্যই।
4. আর হ্যাঁ গিগ এর ইমেজ এ আপনার ছবির সাথে আপনার গিগ কি নিয়ে তার একটি ভালো ছবি দিবেন। কারণ বায়ার গিগে ছবি দেখলে বিশ্বাস করে।
5. সর্বোপরি কম্পিটিটর কি কি নিয়ে গিগ করছে, তাদের একটু a-z এম আই আশা করি আপনার লক্ষ্যে আপনি পৌঁছে যাবেন।
কমেন্ট করুন;
comment url