OrdinaryITPostAd

টাকা(💸) কীভাবে বাড়ানো যায়....?

 টাকা বাড়ানোর জন্য প্রথমত আপনাকে টাকা সঞ্চয় করাটা বাড়াতে হবে।আগে খরচ করবেন, তারপরে সঞ্চয় করা টাকা থেকে বিনিয়োগ করবেন, এমন ভাবনা থাকলে কিন্তু হবে না। 

মাসে যত আয় হয় আপনার, আপনাকে তার অন্তত পাঁচ ভাগের একভাগ বিনিয়োগ করতেই হবে। সুতরাং, আপনার মাসিক ৫ ভাগের ১ ভাগ আগেই সরিয়ে বিনিয়োগ করুন। ঘর খরচার জন্য আপনার কাছে আপনার আয়ের ৮০% আপনার কাছে আছে। 

ভারত আর বাংলাদেশ, আমি যদি ভুল না বলি, তাহলে এই দুটি দেশের জনগণ নিজেদের সঞ্চিত থাকা পয়সা ব্যাংকের সেভিংস ও ফিক্সড ডিপোজিট একাউন্টে রাখতে বেশি ইচ্ছুক। 

আপনাদের জানাই, ভারতের cost inflation rate হল ৪.৫০% আর সেদিকে বাংলাদেশের হল ৫.৩৮%। এই দুই দেশের fixed diposit একাউন্টে টাকা রাখলে আমরা যা সুদ পাই, সেটি cost inflation rate কে হারালেও আমাদের টাকাকে ভালোমত বাড়াতে যথেষ্ট নয়। 

savings account নিয়ে আমি কিছুই বলবো না। আপনারাই বুঝতেই পারছেন, দিয়ে আপনি cost inflation rate কে হারাতেও পারবেন না। 

মধ্যবিত্ত জনগণের উদ্দেশ্যে বলি, আপনাদের জন্য, বিনিয়োগ করার সবথেকে ভালো জায়গা হল mutual fund.

আপনি যদি Debt fund এ বিনিয়োগ করেন, আপনি সহজেই ৭ থেকে ৯% পর্যন্ত আয় করতে পারবেন নিয়োগের ওপর। 

এই দিক আপনি যদি ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক হন, দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগ করে অপেক্ষা করতে পারেন, তাহলে বলব আপনি Equity fund এ বিনিয়োগ করুন। এখানে আপনি ২০ থেকে ৪৫ % আয় করতে পারবেন আপনার বিনিয়োগের ওপর। 



টাকা বানানোর জন্য এবং সেরা বিনিয়োগের জন্য কিছু সাধারণ নীতি আছে যা অনুসরণ করা যেতে পারে:-


১. বিনিয়োগের বৈচিত্র্য (Diversification):-

বিনিয়োগের বৈচিত্র্য নিশ্চিত করুন। স্টক, মিন্টুয়াল ফান্ড এবং অন্যান্য পণ্যগুলোতে টাকা বিনিয়োগ করুন।এটি ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘমেয়াদী লাভের  সম্ভাবনা বাড়ায়।  


2. লক্ষণ নির্ধারণ করুন :- 

আপনার বিনিয়োগের লক্ষ্য স্থির করুন, যেমন- নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বা অবসর পরিকল্পনা। লক্ষ্য নির্ধারণ করার পর আপনি এর জন্য উপযুক্ত বিনিয়োগ নির্বাচনা করতে পারবেন।


৩. দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ ( Long-timing investment) :- 

বিনিয়োগের জন্য দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন। বাজারের উন্থান- পতনে আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য ধরে রাখুন। দীর্ঘমেয়াদী বিনায়ক সাধারণত বেশি লাভ দেয়। 


৪. ঝুঁকি এবং  রিটার্ন মূল্যায়ন করু :-

প্রত্যেক বিনিয়োগে ঝুকিয়ে এবং রিটার্ন মূল্যায়ন করুন। উক্ত ঢুকির বিনায়ক বেশি রিটার্ন দিতে পারে, তবে সে ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্ভাবনাও থাকে। 


৫. সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্লান (SLP) :-

আপনি ইতিমধ্যে মিউচুয়াল ফান্ডে slp করেছেন, যা একটি ভালো সিদ্ধান্ত। এটি নিয়মিতভাবে বিনিয়োগ করতে সাহায্য করে এবং ডলার-কস্ট এভারেস্টিং এর মাধ্যমে বাজারের উন্মান-পতনকে ম্যানেজ করতে সাহায্য করে। 


৬. শিক্ষিত থাকুন এবং নিয়মিত পর্যালোচনা করুন :-

বিনায়ক সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জন করুন এবং আপনার পোর্টফোলিও নিয়মিত ভাবে পর্যালোচনা করুন। বাজার করতিত হয়, এবং সেই সাথে আপনার বিনিয়োগ আপডেট হতে পারে। 

এই পরামর্শ গুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার টাকা বাড়াতে পারেন এবং আপনার লক্ষ্য করতে পারেন। 





টাকা বানানোর কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে :-


১) প্রথমেই টাকা খরচ করার ক্ষেত্রে মিতব্যয়ি হোন, কেননা এক টাকা খরচ না করা আর এক টাকা উপার্জন করা একই কথা। 

২) শুধুমাত্র একটি আয়ের ওপর নির্ভর করা ঠিক না। তাই বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করা উচিত। 

৩) সংগী নির্বাচনে কৌশলি হোন। কারণ ভালো একজন সংগী উপকারে না আসলেও অপকার করে না। 

৪) অনলাইনে বিকল্প আয়ের চেষ্টা করতে পারেন। 

৫) দ্রুত ধনী হতে চাইলে মার্কেটে বিনিয়োগ করতে পারেন, তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কমেন্ট করুন;

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪